লেখক পরিচিতিঃকুমিল্লার গোমতীর তীরে বাসিন্দা সোহেল রানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। গার্ডিয়ান থেকে প্রকাশিত "দ্য কিংডম অব আউটসাইডার" এর পর "ব্যাটল ফর পাওয়ার" লেখকের দ্বিতীয় বই। লেখক হিসেবে তিনি সদাসর্বদা বিচরণ করতে চান বিশ্ব রাজনীতি ও ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে; যেতে চান বহুদূরে।
বইটি কাদের জন্যঃ
ইতিহাস ও বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে আগ্রহীগণ এ বই থেকে প্রয়োজনীয় রসদ পাবেন।
বইটির বিষয়বস্তুঃ
বর্তমানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মুক্তচর্চা বাকস্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন, অংশিদারিত্ব ভিত্তিক রাষ্ট্র ইত্যাদি টার্মগুলো খুবই জনপ্রিয় ও বহুল চর্চিত। এই সবগুলোই মূলত ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। সাম্রাজ্যবাদীরা এগুলোর সংঙ্গা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে থাকে। পরিস্থিতি বা প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন নিজেদের মত গল্প তৈরি করে তা বাজারজাত করে তারা এই গল্পগুলোর মূল কারিগর হিসেবে তৈরি করে বিশ্বব্যাপী "তেল রাজনীতি"। বিশ্বব্যাপী তেল সংঘাত বর্তমানে খুবই পরিচিত। পঞ্চাশের দশকে ইরানের জাতীয়তাবাদী সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচারের হাতকে শক্তিশালী করেছিল আমেরিকা ও ব্রিটেন। আশির দশকে রোনাল্ড রিগ্যান এর আমলে মধ্য আমেরিকায় বামপন্থী শাসনের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে। কমিউনিস্ট স্বৈরশাসন পোক্ত করতে আফগানিস্তানের ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত সেনারা। তাদের ঠেকাতে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থী আফগানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় জিমি কার্টার প্রশাসন। আবার ২২ বছর পর এসে আফগান মুজাহিদীন গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা তালেবানকে কাবুল থেকে উৎখাত করে আমেরিকাই। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!! দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের পর সেই তালেবানদের হাতে পরাজিত হয়েই আফগানিস্তান ছাড়তে হয় আমেরিকাকে। অন্যদিকে, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ইরাক-ইরান যুদ্ধ, ১৯৯০ সালে ইরাক-কুয়েত লড়াই সবক্ষেত্রেই আমেরিকা অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে সাদ্দাম হোসেনের সরকারকে। এমনিভাবে আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে সংঘাতের মূলে রয়েছে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। সিরিয়া আর বেলারুশের মধ্যে সংঘাতের মূলে রয়েছে রাশিয়া। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যাকে যেখানে প্রয়োজন তাকে সেখানেই বসিয়েছে। এভাবেই পট পরিবর্তনের রাজনীতিতে গত ১০০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে পেট্রোলিয়াম বা তেল রাজনীতি।
বইটিতে যেসব প্রশ্নের উত্তর রয়েছেঃ
ব্যাটল ফর পাওয়ার বইটির মূলত দু'টি অংশ রয়েছ। প্রথম অংশে পাঠকদের জন্য রয়েছে ইতিহাস ও বিশ্ব রাজনীতির সাধারণ আলোচনা আর দ্বিতীয় অংশে রয়েছে বন্ধুর সাথে আড্ডার মধ্য দিয়ে বিশ্ব রাজনীতির অন্দরে অল্পবিস্তর আনাগোনা।
প্রথম অংশের কয়েকটি ভাগ হলো —
ইরান কেন এবং কিভাবে ইংরেজদের টার্গেটে পড়ল?
কিভাবে বদলে গেল দুনিয়ার ক্ষমতা কাঠামো?
কিভাবে আজকের রূপ পেল মরুর দেশ সৌদি আরব?
কারা খুন করলো বাদশা ফয়সাল কে?
আফগানিস্তানে তালেবান উত্থান-পুনরুত্থানের নেপথ্যে কারা ছিল?
রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র কেন ব্যর্থ হল?
কি করে পুঁজিবাদে বিলীন হলো চীন?
মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সৌদি-আমিরাতের দ্বন্বের সমীকরণ কি?
ইরাক-ইরান যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, ইরান যুদ্ধ, আফগান যুদ্ধ এবং কুর্দি সংকটের পেছনে কেবলই কি আঞ্চলিক রাজনীতি কিংবা সন্ত্রাসবাদ জড়িত?
একজন অনুসিন্ধুৎসু পাঠক উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর জবাব খুজে পাবেন এই বইটিতে।
বইটির বিস্তারিত আলোচনা
(শুরু থেকে ১০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত)
মহাশক্তির মহাপতনঃ
১৯৬৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়ায় আমেরিকা। কিন্তু কোন অর্জন ছাড়াই ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম রণাঙ্গন ছাড়তে হয় আমেরিকান সেনাদের।
টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ইসলামি সন্ত্রাস নির্মূল বা "ওয়ার অন টেরর" নাম করে আফগানিস্তানে ঢুকে পড়ে আমেরিকান বাহিনী। একসময়ের পাহাড়-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়ানো আফগান যুদ্ধাদের হাতেই ২০২১ সালে পতন হয় আমেরিকা ও তার মিত্রদের।
সাম্রাজ্যবাদের চরিত্রঃ
সাম্রাজ্যবাদের দুর্গন্ধ পশ্চিমাদের শিরায় শিরায়। তারা নিজেদের স্বার্থে গল্প তৈরি করে প্রচার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়। তাদের টার্গেট মূলত ইসলাম। তারা মুসলিমদের গায়ে জিহাদ, টেরোরিস্ট, হত্যাকারী ইত্যাদি বিপদজনক ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। তারা মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাসী তৈরীর কারখানা হিসেবে প্রচার করতে থাকে।
তালেবান পুনরুত্থানের রহস্যঃ
তালেবান যোদ্ধারা বিদেশি শক্তির প্রতি ঘৃনাবোধকে কাজে লাগিয়ে আফগান সেনাদের মনোবল ধসিয়ে দিয়েছে। তারা আফগান সরকার ও তাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের কাছে উপস্থাপন করেছে আমেরিকা ও ন্যাটোর ধূসর হিসেবে। জনগণের পাশাপাশি সাধারণ আফগান সেনারাও তা বিশ্বাস করেছে। ফলে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো মনোবল তারা হারিয়ে ফেলে। এভাবেই ২০২১ সালে পতন হয় আমেরিকার। অতীতের রাজনৈতিক ত্রুটি-বিচ্যুতি ও কট্টরপন্থী থেকে বেরিয়ে বর্তমানে গণমুখী হওয়ার চেষ্টা করছে তালেবান; যোগাযোগ বাড়াতে চাইছে বহিঃ বিশ্বের সাথে। একলা চলো নীতি পরিহার করে তারা মূলত দুটি দিক থেকে আফগানরা নিজেদের ভিতকে শক্তিশালী করতে চাইছে; প্রথমত: সংগঠন ও দ্বিতীয়ত: কুটনীতি।
হিটলার, হলোকাস্ট, জাতীয়তাবাদ ও ফ্যাসিবাদঃ
হিটলারের চোখে জার্মানির আপদ ছিল দুটি; কমিউনিজম ও জুডাইজম। তিনি বিশ্বাস করতেন, দুনিয়ার সব খারাপের মূলে আছে ইহুদিরা। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফ্যাসিবাদী হিটলারের হাতে মারা পড়ে লাখ লাখ ইহুদি, কমিউনিস্ট আর জিপসি। এই জঘন্য হত্যাকান্ডকেই হলোকাস্ট বলে। পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ দূর হলেও সমাজতন্ত্র ও পূজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়; যা ইউরোপকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলে। পূর্ব ইউরোপের মোড়ল হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর পশ্চিমের দেশগুলো হাটে গণতন্ত্রের পথে,যার নেতৃত্বে থাকে আমেরিকা। এভাবেই দুই শত্রুর মধ্যে শুরু হয় স্নায়ুযুদ্ধ।
ইরানে ইউরোপীয়দের আগমনঃ
পারস্যের বর্তমান নাম
ইরান। ইরানের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষার কাজ করে জাগ্রোস পর্বত। এই পর্বত মাড়িয়ে ইরানে ইউরোপীয় গুপ্তচরদের আগমন ঘটে বণিকবেশে ধর্মযাজকের খুঁজে। যাকে ইংরেজরা ইরানের তেলের খনি খুঁজে বের করার মিশনে পূর্বেই পাঠিয়েছিল। তাদের নেতৃত্ব দেন সিডনি রেইলি। অবশেষে তারা উইলিয়াম নক্স ডা'আরসি নামক ধর্মযাজককে খুঁজে পায় যিনি একই সঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলী। লন্ডনের অর্থকড়িতে তিনি তেলের সন্ধানে পারস্যের বিস্তীর্ণ ভূমি চলে বেড়িয়েছেন। এদিকে পারস্যের সম্পদ ও কৃষিপণ্যের দুনিয়াব্যাপী কদর থাকায় এখানে বিদেশিূের আনাগোনা আাড়তে থাকে। এতে পারস্যের রাজা যথেষ্ট বিরক্ত হন। কিন্তু রাষ্ট্রের কোষাগার ফাঁকা থাকায় তিনি এর বিরোধিতাও করতে পারলেন না। এভাবেই বিদেশিরা বিশেষ করে পারস্যের ব্যাপারে নাক গলানোর সুযোগে কাজে কাগসনো শুরু করে। ১৮৭২ সালে পারস্যের খনি উন্নয়ন, রেল, সড়ক নির্মাণ, শিল্পকারখানা গড়ে তুলার চুক্তি হয় ব্রিটিশদের সাথে। এভাবে ইংরেজদের পাশাপাশি রুশ রাও এদেশে আগমন করে। দুই মোড়ল পারস্যের সাথে চুক্তির মাধ্যমে দুটি এলাকায় তাদের আধিপত্য লাভ করে। ব্রিটিশরা পায় পারস্য উপসাগর সংলগ্ন এলাকা আর উত্তর পারস্য ও ককেশাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায় রাশিয়া।
পারস্যে তেলের খনি আবিষ্কারঃ
পারস্যের সাথে চুক্তির ৭ বছর পরে খুজেস্তানে তেলের খনি পাওয়া যান ধর্মযাজক নামধারী উইলিয়াম। সিডনি রেইলির সাথে উইলিয়াম এর দেখা হয় ১৯০৫ সালে। তারা উইলিয়ামকে ধোঁকা দিয়ে "বার্মা অয়েল কোম্পানি" সাথে চুক্তি করতে বাধ্য করে। কোম্পানিটি পরবর্তীতে নাম ধারন করে "অ্যাংলো পার্সিয়ান অয়েল এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি"। পর্দার আড়ালে এর কলকাঠি নাড়ে ব্রিটেন। এভাবে সিডনি রেইলির মাম্যমেই পারস্যে তেলের খনি নিশ্চিত নিজেদের করে নেয় ব্রিটিশ সরকার।
বিশ্বব্যাপী তেলের বাণিজ্যঃ
মাটির নিচের সম্পদও যে শিগগিরই দুনিয়ার সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের নিয়ামক হয়ে উঠবে তায় প্রথম বুঝতে পারে ব্রিটিশরা। তখন জার্মানিতে ছিল লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে জয়জয়কার। তারা বুঝতে পারে কয়লা দিয়ে কাজ হবেনা। জ্বালানির জন্য দরকার তেলের। পারস্যের তেলখনিগুলো তখনও ব্রিটেনের হাতে ছিল। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য জার্মানির পাশাপাশি ফ্রান্সও এগিয়ে আসতে চাচ্ছিল। বার্লিন-বাগদাদ রেলপথ জাতির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। এটা এশিয়ার সাথে অটোমানদের যোগাযোগ সহজ করে দেয়। এভাবে ক্রমশই ব্রিটেন ও জার্মানির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে ফ্রান্স। এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় ১ম বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানি তেল রাজনীতি থেকে কিছুটা পিছিয়ে পরে। আমেরিকার তেল বাণিজ্য একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করতো রকফেলারের স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। এতে প্রথম আঘাত হানে রাশিয়া। আজারবাইজানের বাকুতে আবিষ্কৃত তেল খনিটি রাশিয়ার লুডউয়িগ নোবেলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে তেল উত্তোলনে রাশিয়া দ্রুত আমেরিকাকে টেক্কা দিতে থাকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম থাকায় রাশিয়া সর্বপ্রথম বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানি শুরু করে। ফ্রান্সের রথসচাইল্ড পরিবারের হাত ধরে রাশিয়ার তেল বাণিজ্য শুরু হয় ব্রিটেনের সাথে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে তেলের নিয়ন্ত্রণে আমেরিকা থসকলের পরবর্তী ৫০ বছরে তেলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর হাতে। এই জ্বালানি তেলের নৌরুটের অবরোধের মাধ্যমে ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের গতিই বদলে যায়।
সমাজতন্ত্রঃ
মিখাইল গর্বাচভের হাতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। রাশিয়ায় যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে সমাজতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল তা বেশিদিন টিকেনি। সময়ের পরিক্রমায় জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করে। মূলত কমিউনিস্ট পার্টির সীমাহীন দুর্নীতি, নৈতিক অধঃপতন আর জবাবদিহিতার অভাবে পতন হয় সমাজতন্ত্রের। বর্তমানে সেখানে চলছে একনায়কতন্ত্র। পরবতীতে চীনও সমাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে যায়, থেকে যায় শুধু ছায়া সমাজতন্ত্র। তারা অর্থনীতিকে সঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারায় চীনে দুভিক্ষ হয়; মারা যায় প্রায় চার কোটি মানুষ। যদিও চীন তা হতে নের হতে পেরেছিল। বর্তমানে উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনিজুয়েলায় আলাদা ঘরণার সমাজতন্ত্র বিরাজমান।
ভারতবর্ষে ইংরেজদের লুটপাটঃ
১৯৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়ের পরে ভারতবর্ষ চলে যায় ইংরেজদের ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর হাতে। তারা সরাসরি রাজস্ব আদায় শুরু করে। ভারতবর্ষে ইংরেজদের শাসন ছিল ২০০ বছরের। এসময় তারা লুট করে নেয় প্রায় ৪৫ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ। কাজেই ইংরেজরা ভারতবর্ষে উন্নতির যে গল্প শুনায় তা বাতুলতা ছাড়া কিছুই না।
আত্মস্বীকৃতিঃ
সবটুকু পড়ার সময় না পেয়ে যেটুকু পড়েছি (প্রায় ১০০ পৃষ্ঠা) বুকে হাত রেখে বলছি বইটি অসাধারণ। একবার পড়তে বসলপ শেষ না করে উঠতে মনে চাইবে না। ভাষায় সরলতা ইতিহাস নামক জটিল বিষয়টিকেও সহজাত দান করেছে। সকল পাঠক বইটি থেকে ইতিহাসের খোরাক পাবেন। বিচরণ করবেন তেলের রাজনীতিতে। বইটির বানানে কোনো ভুল চোখে পড়েনি। বইটির প্রচ্ছদ ও বাঁধাই খুবই চমৎকার। গার্ডিয়ান টিমের জন্য মন থেকে দোয়া ও ভালবাসা রইলো।
লেখক : সোহেল রানা
প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
প্রচ্ছদ মূল্য : 295 টাকা (ফিক্সট)
মোট পৃষ্ঠা : 304